শ্যামল সরকারঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুত্র শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ৫ই আগস্ট শুক্রবার বিকাল ৬ টায় সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ্যাড,হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদাউস মোর্শেদ জুয়েলের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সভাপতি এ্যাড হেলাল হোসেন বলেন, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শহীদ শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বি এ (অনার্স) পাস করেন। বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনের শিক্ষার অন্যতম উৎসমুখ ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
তিনি শুধু উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতাই ছিলেন না, ছিলেন ঢাকা থিয়েটারেরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। শৈশব থেকে খেলাধূলায়ও প্রবল উৎসাহ ছিল তার। আর তাকে মাত্র ২৬ বছরে এই বর্ণাঢ্য জীবন কে ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে হত্যা করে বাংলাদেশের আত্নমর্যাদাহীণ করতে চেয়েছিল। আমরা তার এই ইতিহাসের জগন্যতম হত্যাকান্ডের তিব্র নিন্দা ও বিচার দাবি করছি।
এ সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদাউস মোর্শেদ জুয়েল বলেন, শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন্ড লাভ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এবং শাহাদাত বরণের সময় বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠন জাতীয় ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার নির্মম ঘটনায় মাত্র ২৬ বছর বয়সে শাহাদাতবরণ করেন আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। আমরা চাই শেখ কামালের আদর্শ বুকে নিয়ে চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ও দেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
এ সময় চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহসভাপতি জাহিদুর রহমান জাহিদের রোগ মুক্তি কামনা দোয় করা হয়। ও ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট ও ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি এ্যাড,হাবিবুর রহমান লিটু, ফারুকহোসেন ভূঁইয়া, ক্রিড়া সম্পাদক এম এ মবিন জনি, দপ্তর সম্পাদক রনজিত সাহা মুন্না, ইকবাল হোসেন, সৈয়দ ইফতেখার হারুন, জুয়েল কান্তি নন্দু, প্রমুখ।