মহসীন আলমঃ শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি এমপি তৃণমূল থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশের সময়ের ঘনিষ্ট সহচর সাংবাদিক নাজমুস সাহাদাতের (শাহাদাত তালুকদার) জীবন নানা সংকটের মধ্যে অতিবাহিত হচ্ছে। তিনি বর্তমানে ঢাকা ইউনাইটেড হসপিটালে কিডনি, হার্ট ও ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারিরীক অবস্থা ভালো নেই বলে জানা গেছে।তিনি সকলের নিকট ক্ষমা ও দোয়া চেয়েছেন।
জানা যায়, শাহাদাত তালুকদার গত কয়েক বছর যাবত কিডনি, হার্ট ও ডায়াবেটিসের মতো অন্যান্য জটিল রোগ আক্রান্ত হয়ে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসা নিয়ে আসছেন। তিনি উপরোল্লেখিত রোগের পাশাপাশি উচ্চ চাপে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারনে বাম চোখ ইতিমধ্যেই হারিয়ে ফেলছেন। এখন ডান চোখেও ভালোভাবে দেখতে পান নি। পিঠের হাড়েও সমস্যা বিরাজমান।
গত ৮আগস্ট তিনি অনেক বেশি অসুস্থ্য বোধ করলে পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকা ইউনাইটেড হসপিটালের ভর্তি করান। তিনি বর্তমানে কিডনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অধ্যাপক মোঃ নুরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার শরীরে বিভিন্ন পরিক্ষা নিরীক্ষা চলছে। বর্তমানে তার শারিরিক অবস্থা বেশ সংকটময়।
শাহাদাত তালুকদার একজন শ্রদ্ধেয় শান্ত স্বভাবের লোক হিসেবে চাঁদপুর জেলায় পরিচিত। তিনি কয়েক যুগ ধরে অত্যান্ত সম্মানের সাথে সাংবাদিকতা করে আসছেন। সব সময় লিখেছেন সমাজের অসঙ্গতি নিয়ে। তার লিখুনীর মাধ্যমে জনগণের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পথ সুগম হয়েছে। তার দ্বারা এ এলাকার জনগণ বেশ উপকৃত হয়েছে। যার কারনে তিনি সাংবাদিক অঙ্গনে বেশ সুনামের সাথে বিচরন করতে সক্ষম হয়েছেন। সাংবাদিক অঙ্গন সহ জনসাধারণ তাকে বেশ শ্রদ্ধা করতে দেখা গেছে।
তিনি কাজ করেছেন সংবাদপত্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে। তিনি দৈনিক চাঁদপুর সময়ের নির্বাহী সম্পাদক, জাতীয় সাপ্তাহিক রুপালী চিত্র পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও স্পুটনিক সাইন্স ক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া সাংবাদিক শাহাদাত তালুকদার একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ছোটসুন্দর আমজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক বিদ্যুৎসাহী সদস্য ও বর্তমানে রামপুর হাফেজিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে তার শারিরীক অবস্থা ভালো নেই। তিনি সকলের নিকট ক্ষমা চেয়েছেন। এছাড়া তিনি সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন আল্লাহপাক যেন তাকে সুস্থ্য করে দেন।