কচুয়া সংবাদদাতাঃ চাঁদপুরের কচুয়ার ৬নং উত্তর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সিংআড্ড গ্রামে সালিশে ডেকে এক গৃহবধূকে প্রকাশ্যে লাঠিপেটাসহ নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে সালিশকারক ইউপি সদস্য ফরিদসহ নির্যাতনকারী মোট ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
১০ আগস্ট সন্ধ্যায় আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কচুয়া থানার ওসি মোঃ ইব্রাহীম খলিল।
সোশ্যাল মিডিয়া ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আকলিমা আক্তার(৩০) নামে এক বিধবা নারী প্রেমের মাধ্যমে ২য় বিয়ে করার অভিযোগে সালিশি বৈঠক বসিয়েছিলো এক ইউপি সদস্য। সেখানেই প্রকাশ্যে বাড়ীর আঙ্গিণায় জনসম্মুখে বসিয়ে ওই গৃহবধূকে নানান গালমন্দ করে মারতে মারতে একাধিকবার লাঠি ভেঙ্গে ফেলেন এক যুবক। পরে সেই লাঠিপেটা ও নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ হিসেবে ৪ জনকে আটক করে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ আকলিমা আক্তার বলেন, নয় বছর আগে আমার স্বামী আব্দুর রহিম মারা যান। পরে আমি একই গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেনকে ঢাকায় আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সালিশি বৈঠক ডেকে আমার প্রথম স্বামীর বড় ভাইয়ের ছেলে আলমগীর প্রকাশ্যে আমাকে গালমন্দ করে লাঠি পেটা করতে থাকে। পরে আমি পুলিশে অভিযোগ দেই। তবে কে ভিডিও করে এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়েছে সেটি আমি বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার ওসি মোঃ ইব্রাহীম খলিল বলেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গৃহবধূকে লাঠিপেটাসহ নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের পর তা দেখে অপরাধী চিহ্নিত করে আমরা ইউপি সদস্য ফরিদ আহমেদ ও তার ভাই জসিমসহ চার জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছি। এছাড়াও এই অভিযোগের প্রধান আসামি আলমগীরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।