অমরেশ দত্ত জয়ঃ চাঁদপুর সদর ও হাইমচর আসন থেকে টানা ৩ বার এমপি নির্বাচিত হওয়া ডা. দীপু মনি সাম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন সেলফি তোলাকে কেন্দ্র করে। আর এই সেলফি তিনি তাদের সাথেই তোলেন যারা তাকে পরম মমতায় ‘আপা’ ডেকে কাছে টেনে নেন।
৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবারও খান’স ধাবার একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে দীপু মনি নিজ ক্যামেরায় নিজ হাতে একাধিক নারীর সাথে সেলফি তুলতে দেখা যায়।
জানা যায়, দীপু মনি নিজ কর্মগুণের বাইরেও বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচিত। তার মধ্যে একটি হচ্ছে তাঁর সাদামাটা চলাফেরা ও সুন্দর করে শাড়ি পড়া। যার কারনে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ অনুষ্ঠানেও মেয়ে শিক্ষার্থীদের শাড়ী পড়ে দীপু মনি সাজতে দেখা যায়। তবে কথা বলার বাচন ভঙ্গি, নম্রতা এবং মানুষের সাথে মিশে যাওয়ার গুণাবলি দীপু মনিকে সার্বজনীন ‘আপা’ শুনায় যেনো অভ্যস্ত করেছে। তবে বর্তমানে তিনি আলোচনায় এসেছেন নিজ অনুরাগীদের সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে মুঠোফোনে নিজ হাতে হাসিখুশি মেজাজে সেলফি তোলায় সময় কাটিয়ে।
ডা. দীপু মনির কয়েকজন কর্মী ‘হিলশা নিউজ‘-কে জানান, আমাদের আপা (দীপু মনি) একজন উদার মনের মানুষ। রাজনীতি, সামাজিকতা এবং দাপ্তরিক কাজেই তাকে নানান অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হয়। তবে এতো ব্যস্ততার মধ্যেও যখন তাকে ঘিরে সবাই ছবি তুলতে চায়। তখন সবার আবদার রক্ষা করতেই দীপু আপা ব্যস্ততার মাঝেও ছবি তুলে সবার সাথে খুনশুটি মুহুর্তটিতে থাকতে বিন্দুমাত্র কৃপণতা করেননা। তার এই সাদাসিদে আচারণের জন্যই তিনি চাঁদপুরসহ এদেশের মা মাটি ও জনমানুষের নেত্রী হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরের রামপুরের বাসিন্দা ডা. দীপু মনি এমপি হওয়ার পর মন্ত্রীত্বের স্বাদ গ্রহণ করেছেন দুবার। এরমধ্যে একবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বর্তমানে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগেরও টানা কয়েক মেয়াদে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এতো কিছুর পরেও তিনি খুব সকাল উঠে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত জনসেবা ও জনকল্যাণকর উন্নয়নমুখী ভাবনায় মগ্ন থাকেন। তাই তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনারও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
এদিকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডা. দীপু মনি অনেকটা উৎসাহ নিয়েই বলেন, আমি ডা. দীপু মনি আপনাদের কারো বোন, কারো মেয়ে, কারো আপনজন। আমি এবং আমার পরিবার সবসময়ই মানুষের সেবায় নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছি। আমার জন্য দোয়া করবেন। যাতে সব সময় সততা ও ন্যায়ের সাথে থেকে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিয়োজিত থেকে গণমানুষের সেবা করে যেতে পারি।