হাজীগঞ্জ সংবাদদাতাঃ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
২১ এপ্রিল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মূলত বিশ্বের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা যাওয়ার ভিত্তিতে চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে শুক্রবার ঈদ উল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। দেশের আগাম ঈদের প্রবক্তা হাজীগঞ্জের সাদ্র দরবার শরীফ সংলগ্ন সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে সকাল ১০টার দিকে ঈদের জামাতের ইমামতি করেন সাদ্রা দরবারের পীর মাওলানা আরিফ বিল্লাহ চৌধুরী।
অন্যদিকে সাদ্রা গ্রামে সাদ্রা দরবার শরীফে ঈদের জামায়াতে ইমামতি করবেন আল্লামা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। এর আগে গত ২২ মার্চ থেকে প্রথম রোজা পালন শুরু করেন এই মতের অনুসারীরা। তাই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে ২৯ রোজা হওয়ায় শুক্রবারই ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন তারা।
সাদ্রার মরহুম পীরের ছেলে মুফতি জাকারিয়া আল মাদানী বলেন, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে নয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে কোরআন ও হাদিসের আলোকে আমরা ঈদ উদযাপন করে থাকি। যার ফলে সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি।
আসাদুজ্জামান সুফি ও জাকিরসহ অন্য মুসল্লিরা বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে ঈদ পালন করে আসছে। আমারও আল্লামা মোহাম্মদ ইসহাকের অনুসারী হিসেবে ঈদ পালন করছি।সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আল্লামা মোহাম্মদ ইসহাক ইংরেজি ১৯২৮ সাল থেকে প্রথম চাঁদ দেখার উপর মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন। মাওলানা ইছহাকের মৃত্যুর পর থেকে তার ৬ ছেলে এ মতবাদের প্রচার চালিয়ে আসছেন।
সাদ্রাসহ ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো, হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, দক্ষিণ বলাখাল, শ্রীনারায়নপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর ও দশানী।