মোঃ হোসেন গাজীঃ চাঁদপুরের হাইমচর এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে কৃষকরা বেশ খুশি। তাই স্থানীয় তেলের চাহিদা মিটিয়ে এবার বিদেশেও সূর্যমুখীর তেল রপ্তানীর কথা ভাবছেন কৃষকগণ। আর মাটিতে সঠিক সময়ে সার দেওয়া এবং তথ্যগত সহযোগিতা ঠিকভাবে পাওয়াতেই সূর্যমুখীর এমন বাম্পার ফলন বলছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তারা।
২৫ মার্চ শনিবার হাইমচরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা এ বাম্পার ফলনের কথা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উত্তর আলগী ইউনিয়নের মহজমপুর গ্রামের আল আমিন দর্জি বলেন, এবছর আমি ৩০ শতাংশ জমির মধ্যে সূর্যমুখী চাষ করেছি। জমিতে ফলনও ভালো হয়েছে।
হোসেন গাজী নামের আরেকজন বলেন, এই অঞ্চলের অধিকাংশ কৃষক সূর্যমুখী চাষের দিকে ঝুঁকছে। এর কারণ খরচের তুলনায় সূর্যমুখীর তেল বিক্রি করে লাভ পাওয়া যায় বেশি।
সূর্যমুখী চাষি কৃষক আমিন মিয়া বলেন, আমরা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে সহযোগিতায় সূর্যমুখীর চাষ করেছি। তারা আমাদের বিনামূল্যে বীজ, সার ও ঔষুধ দিয়েছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় অনেক ফলন পেয়েছি। আশা করছি বাজারদর ভালো পেলে লাভবান হতে পারবো।
এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বলেন, চাহিদার চেয়ে এবার সূর্যমুখীর ফলন বেশ ভালো হওয়ার কারন আবহাওয়া অনুকূলে ছিলো এবং আমরাও চাষীদের সবসময় তথ্যসহ সবরকমের সহযোগিতা করেছি। সূর্যমুখী ফুলের তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। আমরা কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার ও প্রয়োজনীয় কিটনাশক দিয়ে সহযোগিতা করেছি। কৃষকরা সূর্যমুখী চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ায় আমরাও খুশি।
তিনি আরও বলেন, সূর্যমুখী থেকে তেল ও মৌমাছি থেকে মধু দুটোতেই চাষীরা লাভবান। আমাদের ভোজ্য তেল বেশির ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় বিধায় দেশে যদি এই সূর্যমুখী প্রকল্প সফলতা পায়। তা হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও আমরা এই তেল বেশি করে রপ্তানি করতে পারবো।