শরীফ মোঃ মাছুম বিল্লাহঃ
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা সদরের আলগী বাজারস্থ চতুর্পাশের খালগুলো অপমৃত্যু হওয়ায় দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে লোকজন। নিদারুন অবহেলায় খাল এখন ডাস্টবিনে পরিনত হয়েছে। যার ফলে উৎপত্তি হচ্ছে মশা-মাছি সহ নানারকম জীবাণু। এসব খালের দুর্গন্ধে পথচারী ও ব্যবসায়ীদের হাঁটাচলায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আলগী বাজারে প্রবেশের প্রতিটি রাস্তার মুখেই রয়েছে খাল ও জলাশয়। চাঁদপুর থেকে হাইমচরে প্রবেশের প্রধান সড়কেও রয়েছে দুটি খাল। কিন্তু আলগী বাজারের সকল ময়লা, আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলায় ডাস্টবিনে তৈরি হয়েছে সেই খাল ও জলাশয়গুলো। বাজারের মালি ও ব্যবসায়ি থেকে শুরু করে আশপাশের বসতবাড়ির লোকজন খালগুলো ময়লার ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছেন। ফলে একদিকে সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বাজারে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা আর অতিরিক্ত পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে দোকানপাট সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়ায় এসব জলাশয় ও খালের পাশের রাস্তায় হাঁটাচলা দুষ্কর হয়ে দাড়িয়েছে।
কালের বিবর্তনে সময়ের পরিক্রমায় আলগী বাজার শহরে রূপ নিলেও তৈরি করা হয়নি ময়লা আবর্জনা রাখার সুনির্দিষ্ট কোনো যায়গা বা ডাস্টবিন। তাই নষ্ট করা হচ্ছে সরকারি খালগুলো।
আলগী বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম কোতওয়াল বলেন, ময়লা আবর্জনা ও বাজারের উচ্ছিষ্ট বর্জ্য ফেলার জন্য ডাস্টবিন বা সুনির্দিষ্ট যায়গা না থাকার কারণে মালি ও ব্যবসায়িরা বাধ্য হয়েই বিভিন্ন যায়গায় আবর্জনা ফেলে বাজার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে। এতে করে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর বাজার থেকে যে রাজস্ব আয় আসে, তা থেকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হলে সকলেই সুনির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলতে পারবে। এতে করে খালগুলো দুর্গন্ধমুক্ত ও চলমান রাখা সম্ভব হবে।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসী বেগম বলেন- বাজার সংলগ্ন খাল ও জলাশয়গুলো দুর্গন্ধমুক্ত, পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যপারে আমরা বেশ কয়েকবার আলগী বাজার ব্যবসায়ি কমিটিকে নিয়ে বসার পরও বিষয়টি সমাধান হচ্ছে। ময়লা আবর্জনা ফেলে, কারা এ সমস্যার সৃষ্টি করছে, তাদের বিষয়ে বাজার কমিটি প্রশাসনকে কোনো তথ্য দিচ্ছে না। তবে সহসাই বাজার কমিটিকে সাথে নিয়ে বাজার সংলগ্ন খাল ও জলাশয়গুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
