সুজন দাসঃ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে জোড়া খুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে ৬নং পূর্ব বড়কুলে পাউন্না বাড়ীর নিহতের বাড়ীতে ঘন্টাব্যাপী অবস্থান নিয়ে নেতৃবৃন্দ এই পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে নিহত উত্তম বর্মণ ও কাজলী বর্মণের মেয়ে রীনা রানী বর্মণকে নেতৃবৃন্দ শান্তনা দেন এবং যেকোন বিষয়ে পাশে থাকার জন্য আশ্বস্ত করেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনয় ভূষণ মজুমদার বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে কিংবা পার্শ্ববর্তীরা এ বাড়ীটি দখলের নীল নকশার অংশ হিসেবে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানাবো। আমরা বিশ্বাস করি যেকোন অন্যায়কে মানুষ অন্যায়ের চোখেই দেখে। তাই অবিলম্বে ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
এ বিষয়ে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী বলেন, আমরা এ ধরনের হত্যাকান্ডকে জঘন্য হত্যাকান্ড হিসেবেই বিবেচনায় রেখেছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। অচিরেই এ হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন হবে বলে আশা রাখছি। একই সাথে আশপাশের জনগণকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যেকোন ঘটনায় সজাগ থাকার আহ্বান রাখছি।
এসময় জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি তপন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা, সদর উপজেলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমল চৌধুরী, হাজীগঞ্জ উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সত্যব্রত ভদ্র, শহর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন পাল, সাধারণ সম্পাদক গৌতম কুমার সাহা,উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিধূ ভূষণ রায়,সাধারণ সম্পাদক রতন সরকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এর আগে হাজীগঞ্জের শ্রী শ্রী রাজা লক্ষী নারায়ণ জিউর আখড়া ও হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম মন্দির পরিদর্শন পূর্বক নেতৃন্দের সাথে জেলা নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় করেন।
শেয়ার করুন