সুজন দাস: শুভ মহালয়া উপলক্ষ্যে এই বছর দ্বিতীয় বারের মতে গতকাল রবিবার হাজীগঞ্জের বলাখাল চৌধুরী বাড়িতে মহালয়া অনুষ্টিত হয়। ভোর থেকে কার্যক্রম শুরু হয়ে গ্রামের ও বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক ভক্তের আগ্রমনে ভারী হতে থাকে চৌধুরী বাড়ি। বিভিন্ন বয়সের মা, বোন ও শিক্ষার্থীদের আগ্রমন হয় এই মহালয়া।
দেবী পিতৃপক্ষের শেষে দেবীপক্ষের শুরু করে আজকের এই মহালয়ার মাধ্যমে। একইসঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসবের পূণ্যলগ্নেরও শুরু হল গতকাল থেকে। সনাতন ধর্ম্বাবলম্বীদের বিশ্বাস মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দুর্গা পা রেখেছেন মর্ত্যলোকে। বলাখাল উক্ত অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলে শারদাঞ্জলী ফোরাম চাঁদপুর জেলার সভাপতি রিপন কুমার সাহা বলেন, দূর্গা মা কে বরণ করে নিতে আজ আমাদের এই আরাধনা। অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হওয়ার পর চারদিকে শুরু হয় অশুভ শক্তির প্রতাপ।
এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। তখন দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা। মহালয়ার সময় ঘোর অমাবস্যায় দুর্গা দেবীর মহাতেজের আলোয় সেই অমাবস্যা দূর হয়। প্রতিষ্ঠা পায় শুভশক্তি। দুর্গপূজার উপর নানা দিক আলোচনা করেন তিনি।
সাধারণ সম্পাদক সুমন অধিকারীর সঞ্চালনায় বলাখাল পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও চৌধুরী বাড়ী পূজা মন্ডেপে সভাপতি সুখেন্দ্র রায় চৌধুরীর সভাপত্বিতে তিনি বলেন, হিমালয়ের কৈলাশ থেকে সুদূর পথ পাড়ি দিয়ে প্রতিবছর দুর্গা দেবী আসেন সমতল ভূমির এই বাংলায়। সঙ্গে নিয়ে আসেন গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী আর সরস্বতীকে। প্রতিবছরের শরৎকালে দেবী দুর্গার এই আগমন হয় নিজ ভূমিতে। শাস্ত্র অনুযায়ী এবছর দেবী দুর্গা আসছেন নৌকায় চড়ে, পাঁচদিন ভক্তদের মাঝে অবস্থান করে ঘোড়ায় চড়ে প্রস্থান করবেন তিনি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের হাজীগঞ্জ পৌর কমিটি সভাপতি রাধা কান্ত রাজু বলেন, আমরা মায়ের পূজা করবো স্বার্থিক মতে। ময়ের পূজা হবে নিবির ও মনব সেবা নিয়ে আমরা এই পূজা সম্পন্ন করবো। ভোর ৫টা থেকে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহালয়ার চন্ডীকা পাঠ করেন দ্বিপংকর চক্রবর্ত্তী সৌকত, মানিক সরকার অনুষ্টান পরিচালনায় ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মাঝে চন্ডী পাঠ প্রতিযোগীর মাধ্যমে সকাল ৯টা উক্ত অনুষ্টান সম্পন্ন হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে শেখ খালেদ মজিদ উপস্থিত থেকে নিজ অর্থে সকল প্রতিযোগিদের উপহার প্রদান করেন এবং সকালে সকল সনাতনীদের সাথে তিনিও পিতৃ তর্পন অর্পন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুব মহাজোট চাঁদপুর জেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজিব চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের হাজীগঞ্জ উপজেলা দপ্তর সম্পাদক সুজন দাস।
অনুষ্ঠানে আরো সহযোগীতা করেন অন্তার সাহাসহ অনেক ভক্তবৃন্দ। উৎসবে সমাপ্তিতে দেশ ও জাতির জন্য প্রার্থণা ও মাহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।