সুজন দাসঃ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারের একটি গোস্ত দোকানের ফ্রিজ থেকে ১০ মন পচাঁ মাংস উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৭ জুন) দুপুরে উপজেলা স্যানেটারী অফিসার সামছুল আলম রমিজ অভিযান করে এ পচাঁ মাংস উদ্ধার করে তা ধংস করা হয়।
তথ্য সুত্রে জানাযায়, হাজীগঞ্জ বাজারে একটি চক্র প্রায়ই পচাঁ গরুর মাংস বিক্রি করে। এ চক্রটি দুর্ধান্ত হওয়ায় কেউই এ চক্রটিকে ধরতে পারেনি।
উপজেলা স্যানেটারী অফিসার সামছুল আলম রমিজ গোপন তথ্য পেয়ে সকালে হাজীগঞ্জ বাজারের বেশ কয়েকটি মাংসের দোকানে যান।
যদিও তিনি মাংস ব্যবসায়ীদের বুঝতে দেননি। পরর্বতীতে হকার্স মার্কেটের হাজী আবু তাহেরের গো্েস্তর দোকানে গিয়ে দোকানের ফ্রিজ খুললেই পচাঁ মাংসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এবং একমাস ধরে ফ্রিজে থাকা পচাঁ ও দুর্গন্ধযুক্ত গরুর মাংসের উপর পোকামাকড়ের আনাগোনাও দেখা গেছে।
পরবর্তীতে দোকানের মালিককে খবর দিয়ে এনে ও স্থানীয় লোকদের সহায়তায় ফ্রিজ থেকে সকল মাংস বের করে সকল মাংস নষ্ট করে মাটিতে ফুতে ফেলে।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, হাজী আবু তাহেরের গো্েস্তর দোকানের ফ্রিজে থাকা পচাঁ গরুর মাংস প্রতিদিন তাজা গরুর রক্ত এনে এই পচাঁ মাংস রক্তের মধ্যে ভিজিয়ে রাখে। পরর্বতীতে এই পচাঁ মাংস গুলো তাজা মাংসের সাথে মিলিয়ে বিক্রি করতো হাজী আবু তাহেরের গো্েস্তর দোকানের মালিক আবু তাহের।
দোকান মালিক হাজী আবু তাহের জানান, মাংসগুলো গেলো এক মাস আগের। ফ্রিজে মাংসগুলো রাখার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে দোকানে আসেননি। সে জন্য এগুলো বিক্রয় করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ উপজেলা স্যানেটারী অফিসার সামছুল আলম রমিজ জানান, অনেক মাংসের ক্রেতা প্রায়ই আমাদের কাছে অভিযোগ করতো হাজীগঞ্জ বাজার থেকে পচাঁ মাংস তাদের দেয়া হয়েছে। কিন্তু এ চক্রটিকে ধরতে অভিযান দেয়া হয় হাজীগঞ্জ বাজার হকার্স মার্কেটের হাজী আবু তাহেরের গো্েস্তর দোকানে। সেই দোকান থেকে প্রায় পচাঁ ১০ মন গরুর মাংস জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে ফ্রিজে থাকা পচা গরুর মাংসগুলো ফ্রিজ থেকে বের করে বিøসিং পাউডার মেরে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। এবং দোকান মালিক আবু তাহেরের বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য আইনে নিয়মিত মামলার প্রস্ততি চলছে বলে তিনি জানান। এছাড়াও তিনি বাজারে থাকা অন্য মাংস ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়।