শিমুল অধিকারী সুমনঃ চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের বিরুদ্ধে সিজার করতে গিয়ে এক নবজাতকের মাথা কেটে ফেলার অভিযোগ করা হয়েছে থানায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযোগ দাতাই আড়ালে চলে যান। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, মাথা কেটে ফেললে মারা যেতো নবজাতক। কাজেই মারা যেহেতু যায়নি তাই এটি হচ্ছে এক ধরনের রোগ এবং অভিযোগটা হাসপাতালের জন্য এক প্রকারের মানহানিকর।
৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হলে জেনারেল হাসপাতালের এক চিকিৎসক মোঃ জাহাঙ্গীর এটিকে ‘স্কীন ডিজিজ’ রোগ বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এটি বেশ কয়েক মাস আগের ঘটনা। কোন এক কুচক্রী মহলের অসৎ উদ্দ্যেশ্যে হাসপাতালের সুনাম ক্ষুন্ন করতে এক লোক বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেয়। এরপর আর তার কোন খোঁজখবর নেই। আমরা বিষয়টি আইনীভাবে মোকাবেলা করবো এবং কোন অসৎ উদ্দ্যেশ্য পেলে আমরা ওই লোকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে ব্যবস্থা নিবো।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নজরুল ইসলাম খোকন নামে এক লোক বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে সিজার করতে গিয়ে তার নবজাতক কন্যা শিশুর মাথা কেটে ফেলার ঘটনার অভিযোগ করেন থানায়। সেখানে সিজারিয়ান চিকিৎসক ছিলেন ডাঃ নুসরাত জাহান মিতা। তিনিই নবজাতক সন্তানের মাথার দুটি অংশ কেটে ফেলেন এবং রক্তাক্ত করেছেন।
অভিযোগে নজরুল আরও উল্লেখ করেন, তার নবজাতক সন্তানকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার করাতে আড়াই লাখ টাকা খরছ হয় এবং হাসপাতালের লোকজন পূর্বে এ সংক্রান্ত্র খরছ বহন করবে বললেও পরবর্তীতে একটি টাকাও দেয়নি বরং একপর্যায় টাকা চাইলে মিথ্যা মামলাসহ অজ্ঞাত লোক দ্বারা মারধরের হুমকি দেয়।
এদিকে অভিযোগের সত্যতা জানতে গেলে নজরুল ইসলাম খোকন কোন কথা বলতে রাজি হননি এবং ব্যস্ততা দেখিয়েছেন। উল্টো তিনি কখনো ফরিদগঞ্জ আবার কখনো শশুড় বাড়ী হাইমচরে গিয়ে অবস্থান নেন।এমনকি তার পরিবারের লোকজনও কেউ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার কাদির মিজি বলেন, আমরা টাকা পয়সা দেবো এমন কোন কথাই ওদরেকে বলিনি। হয়তো কোন কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে থানায় তারা অহেতুক এই অভিযোগ করেছেন। আমরা আইনী মোকাবেলা করবো এবং মানহানির বিষয়ে ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত রাজীব চক্রবর্তী বলেন, নজরুল নামে ওই লোক অভিযোগ দেয়ার পর থেকেই শুধু একের পর এক ব্যস্ততা দেখাচ্ছে। আমরা বিষয়টি সমাধানে পদক্ষেপ নিয়েছি।