অমরেশ দত্ত জয় চাঁদপুর ও মুন্সিগন্জ জেলার মধ্যে সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে দুই জেলার পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলার সড়ক যোগাযোগ এবং উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে মতলব-গজারিয়া সেতু বাস্তবায়নের দাবী জানিয়ে আসছিলো এ এলাকার জনগণ। দীর্ঘদিনের এ দাবী বাস্তবায়ন হতে চলছে।
৩১ আগস্ট মঙ্গলবার একনেক সভায় এ সেতু অনুমোদন হওয়ার কথা শুনতেই মতলব তথা চাঁদপুর জেলার মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর পেয়ে মতলবের বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
জানা যায়, চাঁদপুরে ঝুলন্ত সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৭৪ কোটি ৬৭ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা। এর আওতায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও চাঁদপুরের মতলবের মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর এই ঝুলন্ত সেতুটি নির্মিত হবে। প্রকল্প চলবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। সাধারণত প্রকল্পের মেয়াদ একনেকে পাস করার আগে থেকে শুরু হয়। তবে এই প্রকল্প পাস হয়ে থাকবে এবং পরে কাজ শুরু হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনন্দের এ সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেতু অনুমোদন করায় চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ নুরুল আমিন রুহুল তার নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সেতুটি নির্মাণ হলে সর্বসাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে এবং জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হবে। সেতু নির্মানে আমি ডিও লেটার দেয়ার পর একনেকে অনুমোদন পেলো চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলাকে সংযোগ স্থাপনকারী ঝুলন্ত সেতু। এই সেতুটি মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর উপর দিয়ে নির্মিত হবে। এতে করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক সংযোগ সৃষ্টি করবে এই সেতু। যার কারনে ঢাকার সাথে যোগাযোগ আরও সহজ হবে।