মানিক ভৌমিক: চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দেদারছে চলাচল করছে যন্ত্রদানব নিষিদ্ধ ট্রাক্টর। সম্প্রতি শুষ্ক মৌসুমে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার হিড়িক পড়েছে। এই মাটি কেটে ইটভাটা, মৎস্য ও বসতবাড়ি নির্মাণে পরিবহনের মাধ্যমে সড়কে দাবিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাক্টর। চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত এসব ট্রাক্টর সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ হলেও প্রতিনিয়ত মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে ধ্বংস হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা ও ফসলি জমি। এতে করে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে । কচুয়ার বিভিন্ন স্থানে ৬ চাকার এই ট্রাক্টর পাকা, আধাপাকা ও কাঁচা সড়কে ইট-মাটি-বালি, কাঠ-গাছ পরিবহনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপজেলার সর্বসাধারণ।
প্রতিনিয়ত নতুন সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার করা হলেও এ যন্ত্রদানবের ভয়াল ছোবলে সড়কগুলো ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে। এ উপজেলায় প্রায় শতাধিক ট্রাক্টর চলাচলের কারনে লক্কর-ঝক্করে রূপ নিচ্ছে সকল ধরণের সড়ক। লাইসেন্সবিহীন,অনভিজ্ঞ চালকের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনাও। দিনে-রাতে সমানতালে পণ্য নিয়ে নিষিদ্ধ ট্রাক্টর বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো ভূমিকা চোখে পড়েনি।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা অলি উল্লাহ সরকার,অধিবাসী আহসান হাবীব,তৌহিদুল ইসলাম জানান, এ ট্রাক্টর চলাচলের সময় আশপাশ কুয়াশার মতো এলাকায় ধূলোয় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। আর ধূলোর মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করায় স্বর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।
কচুয়া উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান এম আখতার হোসাইন মজুমদার বলেন,বিভিন্ন সড়কের সংস্কার কাজ করার পর এসব ট্রাক্টর চলাচল করে সড়কগুলো নষ্ট হচ্ছে। আমি আমার পরিষদে সভা করে ট্রাক্টর চলাচলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছি। এরপরও যদি কেউ বেআইনি ভাবে ট্রাক্টর চালায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সহযোগিতায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএনও মো. নাজমুল হাসান বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে ট্রাক্টর মালিকদের সতর্ক করেছি। তবে ফসলী জমি নষ্ট করে মাটি কাটার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।