হিলশা নিউজ রিপোর্টঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলা ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়া ৭ নং ওয়ার্ড বাসিন্দা জব্বর ঢালির ব্যবসায়ী এবং হরিনা চালিতাতলী এ্যাডওয়ার্ড ইনিষ্টটিউট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ মোর্শেদ আলমকে
গত কাল ২৯ জুলাই বুধবার রাত সাড়ে ১১ টায় সময় তাঁর বাড়ির সামনে ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর খান মোর্শেদ আলমকে হুমকি ধামকি দেন এবং কিছু যুবক তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে এবং তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে জখম করে ।সন্ত্রাসীরা হামলা করেও ক্ষান্ত হয়নি তাঁর মোটর সাইকেলটি পুড়িয় দেন।তাঁর ডাক চিৎকারে পাশের বাড়ির ছাওার ছৈয়াল সহ আশেপাসের লোকজন এসে মোর্শেদ আলম কে ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপতালে নিয়ে ভর্তি করান। আহত মোঃ মোর্শেদ আলমের ছোট ভাই স্কুল শিক্ষক মোঃ জুয়েল আলম জানান,গত সোমবার রাত ১১টায় ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গীর খান ঐ দিন রাত সে মদ পান করে জব্বর ঢালী’র দোকান সংলগ্ন এসে মাতলামী এবং এলাকা বাসীর সাথে খারাপ ব্যাবহার করায় আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ নাছির মাঝি সহ আরো অনেকে তাঁকে জিঙ্গাসা করে আপনি কেন মদ পান করেন এখানে কেন মাতলামী করেন এবং আপনের মোটোর সাইকেলের পিছন করে বহু দিন ধরে রাতের আঁধারে মেয়ে এনে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পূর্তি করেনএবং তাঁদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ কথা বলতে না বলতেই নাছির মাঝির উপর হামলা চালায় ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর খান এবং তাঁর ভাড়াটিয়া করা সন্রাসীদেরকে দিয়ে নাছির মাঝির লোকদের উপর মারধর করা হয়। এসময় স্কুল শিক্ষক মোঃ মোর্শেদ আলম তাঁদের উভয়ের মধ্যে কথার কাটাকাটি হলে মোর্শেদ আলম সহ আরো অনেকে মিলে ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণ করেন। ঐ ঘটনার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২৯ ই জুলাই বুধবার রাত সাড়ে ১১ টায় স্কুল শিক্ষক মোঃ মোর্শেদ আলম তাঁর ব্যবসায়ী কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীর প্রায় ৫ জন মিলে ওঁৎ পেতে থাকে হত্যা করার জন্য। তাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে। পরে সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়। তার সাথে থাকা ১,৪০,০০০ হাজার টাকা থেকে ৯০,০০০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ছাওার ছৈয়াল, বিল্লাল পাঠান, কবির পাটওয়ারী,জাকির দর্জি, শহিদ পাটোয়ারী,মোতালেব শেখ সহ স্হানীয়রা জানায়, ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর খানের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। সে একজন জনপ্রতিনিধি। মানুষের বিচার সে করবে। তাঁর বিচার কেন জনগন করতে হয়। সে তাঁর আরেক সহযোগীকে নিয়ে কিছু দিন পূর্বে মদ পান, গাঁজা, ইয়াবা সেবন করা এবং মেয়েদের কে নিয়ে অবৈধ ভাবে মেলামিশে করে আসছে। এ জন্য তাঁকে হাতে নাতে ধরে এলাকা বাসী গন ধোলাই দেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে এলকায় প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।।গতকাল রাত সাড়ে ১১ টায় স্কুল শিক্ষক মোর্শদ আলম বাড়ি ফেরার সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায় এবং মোটরসাইকেল আগুনে পুড়ে দেয়। স্হনীয়দের সহযোগিতায় চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন কে জানালে মডেল থানা ও পুরান বাজার পুলিশ এসে ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করেন এবং পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে মামালার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান। এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারীকে এলাকা বাসী জানালে, সে জেনেও না জানার ভান ধরে থাকেন। কয়েকবার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।