চাঁদপুর প্রতিদিন পত্রিকার পক্ষ থেকে লেখক সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক ও গীতিকবি মিজান মালিক অমরেশ দত্ত জয়ঃ গত একুশে বইমেলায় সাড়া জাগানো কাব্যগ্রন্থ ‘গল্প ছাড়া মলাট’ এর জন্য চাঁদপুরের জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিন পত্রিকার পক্ষ থেকে লেখক সম্মাননা পুরস্কার পেলেন দৈনিক যুগান্তরে ক্রাইম এন্ড ইনভেস্টিগেশন এডিটর সাংবাদিক ও গীতিকবি মিজান মালিক।.শনিবার(২৮নভেম্বর)চাঁদপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে পাঠকপ্রিয় চাঁদপুর প্রতিদিন এর এক দশক পূর্তি অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।.অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।.বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপু ও চাঁদপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল।.দৈনিক যুগান্তরের ইনভেস্টিগেশন এডিটর, কবি ও লেখক মিজান মালিক সহ আরো সম্মাননা পান জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম)-এর পরিচালক প্রফেসর ড. লোকমান হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী জেসমিন সুলতানা, প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর পরিচালক ওমর ফারুক দেওয়ান, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা খান হীরামনি, অপ্সরা ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরা আক্তার, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ঊর্ধ্বতন সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আনোয়ার হাবিব কাজল, ইকো লাইফস্টাইলের মালিকানা স্বত্বাধিকারী ফৌজিয়া আবেদীন প্রমূখ।.চাঁদপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী সভাপতিত্বে এবং এক দশকপূর্তি ও একাদশ বর্ষে পদার্পণের আয়োজনে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাস, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ আবুল খায়ের খান, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনের বিশিষ্টজন।.চাঁদপুরের কৃতি সন্তান মিজান মালিক প্রায় দুই যুগ ধরে সাংবাদিকতার পাশাপাশি সঙ্গীত ও সাহিত্য চর্চায়যুক্ত আছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র মিজান মালিক একজন পেশাদার সাংবাদিক। শিল্প-সাহিত্যিক মহলে তিনি একজন গীতিকবি হিসেবে অনেক বেশি পরিচিত। তাঁর অসংখ্য গান দেশের বড় শিল্পীদের মুখে মুখে। গানের জন্য তিনি ২০০৬ সালে বাচসাসস পুরস্কারও পান। সাংবাদিকতায় রাষ্ট্রীয় পুরস্কারসহ রয়েছে অসংখ্য অর্জন। তাঁর মূলভাবনায় বেসরকারি টেলিভিশনে একাধিক নাটকও সম্প্রচারিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃক দেশের সবচেয়ে বড় পুরস্কারটি পান ২০১৫ সালে।.মহামান্য রাষ্ট্রপতি এই পুরস্কার প্রদান করেন। একই বছর তিনি সেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য ২০১২ সালে তিনি দুদকের প্রথম মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়াও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সেরা অর্জনের জন্য তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও ক্র্যাবসহ অনেকগুলো সংস্থা থেকে পুরস্কার অর্জন করেন। ছাত্রজীবন থেকে লেখালেখি করলেও মূলত অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে তার তৃতীয় একটি নয়ন খুলে যায়। যা বলা যায় না বা অব্যক্ত থেকে যায়, এমন অসংখ্য ঘটনা তাঁর মনে রেখাপাত করে। মন কখনো ব্যথাতুর হয়ে ওঠে। সেইসব অদেখা, অজানা অনেক গল্প পাওয়া যায় মিজান মালিকের কবিতায়।প্রেম, দ্রোহ, বিষণ্নতা, অপ্রাপ্তির চিত্রও শৈল্পিকভাবে উঠে এসেছে তাঁর কবিতায়। ‘গল্প ছাড়া মলাট’ তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ। তথ্যানুসন্ধানমূলক একটি গ্রন্থও রয়েছে তাঁর।.টেলিভিশন ও পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতায় রয়েছে তাঁর বেশ অভিজ্ঞতা। যমুনা টেলিভিশনের ‘থ্রি-সিক্সটি ডিগ্রি’ জনপ্রিয়তা পেয়েছে তাঁর হাত ধরেই। তিনি দৈনিক যুগান্তরে ইনভেস্টিগেশন এডিটর ও বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।.মিজান মালিক ১৯৭৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। সাংবাদিকতা শুরু দৈনিক ভোরের কাগজ-এর মাধ্যমে। এরপর বাংলাবাজার পত্রিকা, মুক্তকণ্ঠ, মানবজমিন-এ বেশ কয়েক বছর কাজ করেন।