মিলন চন্দ্র দাসঃ চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সাবেক পালক রেভাঃ মনিন্দ্র বর্মন গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন,শলোমন মন্ডল চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সাধারণ সভা আটকানোর জন্যই এই আমরন অনশন হাতে নেয়।সে আর তার বউসহ সুপরিকল্পিতভাবে চার্চের সম্মান নষ্ট করেছে।তাছাড়া গত প্রায় দেড় বছরে চার্চের পালক চার্লস অনুপ দাস বলা সত্ত্বেও শলোমন মন্ডল সম্পাদক হয়েও চার্চের ১টি সভাও করতে পারেনি। অথচ চার্চে প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর নিয়মতান্ত্রিকভাবে সভা হওয়ার কথা ছিলো। যা সম্পূর্ণভাবে তার ব্যর্থতায় হয়নি।
৩০শে অক্টোবর শুক্রবার তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, শলোমন মন্ডল একের পর এক গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপ করেছে।সে যেই পুকুর ও ভূমি বিক্রির অর্থ আত্মসাৎের অভিযোগ দুদকে দিয়েছে।তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও সাজানো।কেননা চার্চের কোন ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি নেই।এই সম্পত্তিটি দানকৃত সম্পত্তি।যা বোর্ডের সিদ্ধান্ত ক্রমেই ১০/২০১৪(গ) মোতাবেক কাজটি করা হয়েছে।এতে কোন ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থ জড়িত নেই।বরং তার এরূপ কর্মকান্ডে চাঁদপুর ব্যপ্টিষ্ট চার্চের পালক চার্লস অনূপ দাস, সহ-সম্পাদক পিন্টু বাইন, ট্রেজারার থমাস দাসগুপ্ত, বয়জৈষ্ঠ পরিচারক রেভারেন এন কে দাশগুপ্ত, পরিচারক সমুয়েল বাইন ও ক্রমান্বয়ে সাধারণ সদস্যসহ ৭১ জন কমিটি থেকে অব্যাহতি নেয়। আর এর প্রেক্ষিতে তাকে নিয়ে ২৯শে অক্টোবর মন্ডলী সভা ডাকার কথা ছিলো। তা সুকৌশলে এরিয়ে যেতেই শলোমন মন্ডল আর তার বউ মিলে এই আমরন অনশন করছে।
চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সাবেক পালক রেভাঃ মনিন্দ্র বর্মন গণমাধ্যমকর্মীদের আরো জানিয়েছেন,চার্চে নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্যই শলোমন মন্ডল গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।এতে আমাদের ধর্মীয় কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।এ সময় চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সাবেক ট্রেজারার মি. রমেশ মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুর ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের পুকুর ও ভূমি বিক্রির অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্ণীতির অভিযোগ তুলে চাঁদপুর ব্যাপ্টিষ্ট চার্চে আমরন অনশন করছিলেন চার্চটির সম্পাদক শলোমন মন্ডল।যে সংবাদটি ইতিমধ্যে ‘হিলশা নিউজ‘ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।যা দৃষ্টিগোচর হওয়ায় চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সাবেক পালক রেভাঃ মনিন্দ্র বর্মন গণমাধ্যমকর্মীদের ডেকে শলোমন মন্ডলের আমরন অনশনের রহস্য প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করেন।