মনির হোসেন খানঃ চাঁদপুর সরকারি কলেজ সংলগ্ন সড়কের পাশে ‘ওয়াকওয়ে‘ করে দেওয়ার দাবী উঠেছে শিক্ষার্থী ও সচেতন মহলে। আর দ্রুত দাবী বাস্তবায়িত না হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীর কলেজমুখী চলাফেরায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
৯ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সরকারি কলেজ সড়কের চারপাশ হেঁটে দেখা যায়, সড়কে তীব্র যানজট। রিক্সা, সিএনজি, অটোরিক্সা, সাইকেল, মোটরসাইকেল, জিপ গাড়ী, প্রাইভেট গাড়ী একটার সাথে দীর্ঘক্ষণ জামে আটকে রয়েছে। সড়কের প্রশস্ততা কম বিধায় সাধারণ পথচারীরা যান-বাহনের চাপে স্বাভাবিক চলাফেরাটুকু করতে পারছিলো না।
জরুরী কাজে এসে চাঁদপুর সরকারি কলেজ সড়ক দিয়ে যানজটে আটকা পরা পথচারী আবুল, বাবুল, কালু, মিন্টু, সামছুলসহ আরো অনেকে জানান, আগামী ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। এতে কলেজে পড়া শিক্ষার্থীদের পদচারণায় এ সড়কটি মুখেরিত হয়ে উঠবে। তাই কোমলমতি এই শিক্ষার্থীদের চলাচলের পথ যেন সুগম হয়। এজন্য ওয়াকওয়ে করা একান্ত জরুরী বলে আমরা মনে করছি।
‘ওয়াকওয়ে’ প্রসঙ্গে চাঁদপুর সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সীমা আক্তার জানায়, পড়ালেখার বিশেষ প্রয়োজনে প্রায়ই কলেজে আসি। তবে সড়কে তীব্র যানজট প্রতিনিয়ত লেগে থাকায় দুর্ঘটনার ভয় যেন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। আমাদের ভয় রোধে নীতি নির্ধারকগণ ওয়াকওয়ে করে দিবেন বলে আশা করছি।
স্থানীয় দোকানদার নিজাম জানান, চাঁদপুরের অন্যতম প্রিয়জন মরহুম করিম পাটওয়ারীর সড়কের পাশে অবস্থিত এই চাঁদপুর সরকারি কলেজটিতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। তারা সবাই কলেজ খুলার অপেক্ষা করছে। তাছাড়া এই কলেজ সংলগ্নে জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো চাঁদপুর জেলা অফিস হওয়ায় এখানে প্রায়ই সেবাপ্রার্থী নারী-পুরুষের ভীড় থাকে। সেই সাথে শহরের প্রফেসর পাড়া ও নাজির পাড়ার স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও এই সড়ক দিয়েই তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। সুতরাং যেকোন দূর্ঘটনা এড়াতে এখানে ওয়াকওয়ে করা এখন সময়ের দাবী।
চাঁদপুর সরকারি কলেজে মেয়েকে পৌঁছে দিতে আসা অভিবাবক নুরু হাওলাদারের সাথে ‘ওয়াকওয়ে’ প্রসঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, দূর্ঘটনাতো আর জানিয়ে আসে না। তাউ মেয়েকে নিজে এসে পৌঁছে দেই আবার নিয়ে যাই। ওয়াকওয়ে নেই বলে খুব ভয়ে ভয়েই মেয়েকে কলেজে দিতে আসি। দ্রুত ওয়াকওয়ে করা হউক এই দাবী জানাচ্ছি।
স্থানীয় নাজির পাড়ার বাসিন্দা এবং চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৯২ সালের কলেজ সংসদের জি. এস মজিবুর রহমান, শিক্ষক নেতা বাশার এবং জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ব্যবসায়ী খায়রুল আহসান সুফিয়ানের মতো সচেতনরা ‘ওয়াকওয়ে’ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চাঁদপুর সরকারি কলেজে নিরাপদে যাতায়াত করবে এটাই ত হওয়া উচিত। তাই কলেজ সড়কটি আরেকটু প্রশস্ত করে এর দু’পাশে ‘ওয়াকওয়ে’ নির্মাণ করা প্রয়োজন। তবে এ বিষয়ে চাঁদপুরের নগরপিতা এবং নান্দনিক নেতা মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল মহোদয়ের পরিকল্পনার কথাই আমাদের শেষ কথা। তিনি এই ওয়াকওয়ে নির্মাণে যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। তাই এ বিষয়ে আমরা সবাই পৌর মেয়র মহোদয়ের দ্রুত সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।