হাজীগঞ্জ সংবাদদাতাঃ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নামের ভুলে পুলিশের কাছে হেনস্তার শিকার হয়েছে হেলাল মজুমদার ও তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম।
শনিবার বিকেলে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বেলঘর মজুমদার বাড়ীতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী হেলাল মজুমদার(৫৫)জানান, বাড়িতে পুলিশ এসেছে খবর পেয়ে মাঠের কাজ রেখে বাড়িতে ছুটে আসেন। পরে পুলিশ তার বিরুদ্ধে যৌতুক মামলার আসামী বলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা মামলার কাগজ দেখে সঠিক ঠিকানা দেয়ার পরও তাকে বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে বাজারে নিয়ে আসে।
একপর্যায়ে তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম(৪৬) কেনো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে গালিগালাজ ও তাকে নিয়ে টেনেহিঁচড়ে আহত করে পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ করেন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই গোপী দাস ও এএসআই ছামদানী।
ভুক্তভোগী পেয়ারা বেগম জানান, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে কেনো যৌতুক মামলা করিনি। অন্যবাড়ির বিষয়টি নিয়ে অযথাই কেনো আমাদেরকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করলো তার সঠিক বিচারের দাবী করছি।
স্থানীয় প্রত্যেক্ষদর্শী তাফাজ্জ্বল হোসেন জানান, একই ইউনিয়নের গাজী বাড়ীর বিল্লাল গাজীর ছেলে হেলাল গাজীর বিরুদ্ধে তার স্ত্রী আঁখি যৌতুক মামলা করে। মামলার কাগজটি দেখার পর ঠিকানা যাচাই-বাছাই না করে তাদেরকে টেনেহিঁচড়ে স্থানীয় বেলঘর বাজারে নিয়ে যায়।
স্থানীয় প্রত্যোক্ষদর্শী জান্নাতুল ফেরদৌস আক্তার বলেন, হাজীগঞ্জ থানার এএসআই ছামদানী বিভিন্ন সময়ে এসে অযথাই মানুষকে হয়রানিসহ গালিগালাজ করে। এছাড়াও এক আসামির ঠিকানা তাকে দেয়ার কথা থাকলেও ওনার ফোন নাম্বার না পাওয়া এসআই গোপী দাস’কে ওই আসামির ঠিকানা দেয়ায় ছামদানী মুঠোফোনে ব্যাপক গালিগালাজ করে।
এমন ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সুবিচার প্রত্যাশা করেন ভুক্তভোগী পরিবার। তবে এই বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে এখনও কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে খুব শীগ্রই লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান তারা।
এবিষয়ে মুঠোফোনে এসআই গুপি সাহা জানান, ওরা খারাপ প্রকৃতির লোক এবং এরা এলাকায় চুরি ও মাদকের সাথে জড়িত বলে দাবী করেন।
মুঠোফোনে এএসআই গোলাম ছামদানী জানান, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওদের টানাহেঁচড়াও করা হয়নি বলে দাবী করেন।
এই বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত নজরুল ইসলাম জানান, টানা হেঁচড়ার বিষটি জানা নাই। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে আসামীর খাতায় নাম না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।