মতলব উত্তর প্রতিনিধিঃ কিছুটা কমদামেই কবুতর খরগোশ ও ঘুঘু কিনে স্বস্তি পাচ্ছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মানুষজন। এর সাথে কিনতে পারছেন দেশী বিদেশী নানা জাতের রং বেরঙ্গের পোষা পাখিও। তবে প্রতিদিন নয় সপ্তাহে একবারই মানুষ এমন হাটে কেনাকাটা করতে পারছেন।
২০ ডিসেম্বর বুধবার কবুতরের হাটের এমন তথ্যই দিলেন মতলব উত্তর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র দাস।
স্থানীয়রা জানান, মতলব উত্তরের সুজাতপুর, কালির বাজার এবং ছেংগারচর বাজারে প্রতি শুক্রবার কবুতরের হাট বসে। সাপ্তাহিক এই হাটে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কবুতর খরগোশ ঘুঘুসহ হরেক রকমের পাখি বেচাকেনা হয়। ‘ঝুঁকি কম-লাভ বেশি, শখের বসে কবুতর পুষি’ এমন শ্লোগান নিয়ে সৌখিন পাখি পালনকারীদের বাণিজ্যিক খামার করতে উৎসাহিত করার জন্যই এই হাটের চালু করা হয়েছে। যেখানে দ্রুত পোষা কবুতরসহ পাখপাখালি বিক্রি করতে খামারি ও তরুন উদ্যোক্তারা ছুটে যান।
কবুতর ব্যবসায়ীরা বলছেন, ককটেল, বাজরিকা, জাভা, লাভবার্ড, অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু, কাকাতুয়া, বিদেশী ও ছাগলা জাতের খরগোশ হাটগুলোতে সবসময় পাওয়া যায়। এরমধ্যে দাম স্বস্তা হওয়ার কারনে হাটের নাম সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। খামারি ও খুচরা বিক্রেতারা মিলে জমিয়ে তুলেছেন হাট। যেখনে ২শ’ থেকে ৪শ’ টাকায় দেশী কবুতর, লাক্কা বা ময়ূরী এবং সিরাজী ৮শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা, বাচ্চা কবুতর আড়াইশ টাকা, বোম্বাই কবুতর ১ হাজার টাকা, রেসার ৬শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা, কালদোম-গ্রীভাছ ও মুক্ষী ৫/৬শ’ টাকা, দেশী ও অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু ৪শ’, অফ্রিকার ঘুঘু ৭শ’, তিতি মুরগীর বাচ্চা ৪শ’ টাকা, বাজরীকা পাখি ৩শ’ টাকা, কোয়েল ২শ’ টাকা, দেশী-বিদেশী খরগোশের বাচ্চা ৪শ’ ও বয়স্ক ১ হাজার টাকা, ছাগলা খরগোশ ৬শ’ টাকা জোড়ায় বিক্রি হচ্ছে। যা অন্যান্য হাটের দামের চেয়ে অনেকটাই স্বস্তা।
হাটের নিয়মিত কবুতর ক্রেতা বিমল দাস বলেন, কবুতরের হাটে অন্যান্য পাখিসহ খরগোশ কম দামে পাওয়া যায় বলে আমি প্রায়ই সেখানে যাই। হাটের বাজার ব্যবস্থাপনাও ভালো। ব্যবসায়ী ও ক্রেতা বিক্রেতারা দরকষাকসিতে জড়ালেও কেউ কারো সাথে খারাপ আচরণ করেনা।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কবুতরের হাট ভূমিকা রাখবে। আমরা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে হাটে আসা উদ্যোক্তাদের কোন পরামর্শ লাগলে তা দিতে সবসময় প্রস্তুত আছি।