জয় চন্দ্র নাগঃ চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে একের পর এক বাড়ছে চোর চক্র ও মাদক কারবারী। যদিও পুলিশি তৎপরতায় প্রতিনিয়তই এসব অপরাধীরা আইনের আওতায় আসছে। তবুও শাহরাস্তিবাসী যেনো এ ধরনের অপতৎপরতা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগেই রয়েছেন।
২৭ মার্চ বুধবার দিনব্যাপী শাহরাস্তির পাড়া মহল্লায় আলাপ আলোচনা করলে চোর চক্রের অপরাধের এসব তথ্য উঠে আসে।
স্থানীয়রা বলেন, চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলাটা কুমিল্লা বর্ডারের কাছাকাছি হওয়ায় অপরাধীরা এটিকে নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে। যার কারনে অনেক সময়ই তারা নানান অপরাধ করতে এখানে চলে আসছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি হয় চুরি। তবে সবার সচেতনতা ও পুলিশি তৎপরতায় এখন আগের চেয়ে শাহরাস্তির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো।
শাহরাস্তি মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, দেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে বেশ কয়েকটি চোর চক্রকেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এদের মধ্যে চুরির মামলায় বিভিন্ন সময়ে হোসেনপুরের মৃত শুক্কুর আলমের ছেলে সৈকত হোসেন (১৯), সিএনজি চুরির আসামী হাফিজুর রহমান (২৫), আকানিয়া নাছিরপুরের চোর চক্রের মোঃ ওমর ফারুক ও মোঃ শাহাদাত হোসেন, গরু চোর চক্রের মাঈন উদ্দিন, চোর শাহাদাত হোসেন ও পিয়াস হোসেন, চোর চক্রের আলমগীর হোসেন ও বাবুল মিয়া,চোর চক্রের সদস্য শাহাপুর নোয়াবাড়ীর মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে আনিছুর রহমানসহ আরো অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
শাহরাস্তি মডেল থানা সূত্রে আরও জানা যায়, শুধু চুরিই নয় এরসাথে পুলিশি চেকপোস্ট ও নানা সময়ের ট্রহলে এবং অভিযানে মাদক কারবারী, ছিনতাইকারী ও বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে টামটা দক্ষিণের ওয়ারুকের আবু তাহেরের ছেলে মোঃ শরিফ(২২) কে ৩শ’ গ্রাম গাঁজা, জিআর পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী সেতরা বেপারী বাড়ীর সামছুল আলমের ছেলে রবিউল, অপহরণ ও খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী উপলতার কাজী বাড়ীর আব্দুল হকের ছেলে ফারুক হোসেন, ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডপ্রাপ্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক দম্পতি দেবীপুরের আলমগীর হোসেন ও শাহীন আক্তার, সাজাপ্রাপ্ত মাদক ব্যবসায়ী ভিংরার আনোয়ার হোসেন, সিআর পরোয়ানাভুক্ত আসামী শোরশাকের মোঃ ফরিদ, জিআর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী খেড়িহরের শাহজাহান বাচ্চু, জিআর পরোয়ানাভুক্ত ইছাপুরের কামরুজ্জামান,সিআর পরোয়ানাভুক্ত শরীফ উল্লাহ, ৫০ পিস ইয়াবাসহ নবাবপুরের আরমান হোসেন, জিআর পরোয়ানাভুক্ত আসামী ইদ্রীস আলী ও রেজাউল করিম সুমনসহ অনেককেই গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, আমি এই থানার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই অপরাধ নির্মূলে পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মাঠে নেমে পড়ি। চোর, মাদক কারবারী, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ইভটেজার,কিশোর গ্যাংসহ সকল অপরাধীদের উর্দ্ধতনের নির্দেশনায় আইনের আওতায় আনতে তৎপরতা চালাচ্ছি। প্রতিনিয়ত আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঠেকাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী সঙ্গীয় ফোর্সদের সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এই শাহরাস্তিবাসী নিরাপদে ও শান্তিতে থাকলেই আমি আমার কাজের সফলতা খু্ঁজে পাই।