স্টাফ রিপোর্টারঃ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে চিরবিদায় নিলেন ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ এর সহধর্মীনি ও শিক্ষামন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দীপু মনি এমপির রত্নগর্ভা মমতাময়ী মা শিক্ষাবিদ রহিমা ওয়াদুদ।
রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠে রবিবার (৭ মে) বাদ আছর মরহুমার জানাজার পর রহিমা ওয়াদুদকে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। জানাযা ও দাফন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপিসহ পরিবারের সদস্য,আত্মীয়-স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষী, শুভানুধ্যায়ী,মরহুমার প্রাক্তন শিক্ষার্থী,
রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক,পেশাজীবি ব্যক্তিবর্গ ও সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জানাজার নামাজ পূর্বক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রাখেন মরহুমা রহিমা ওয়াদুদের জ্যেষ্ঠপুত্র বিশিষ্ট চিকিৎসক ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু। এসময় তিনি বলেন, আমার মা সব সময় দেশের কথা ভেবেছেন, দেশের জন্য কাজ করেছেন। তিনি অত্যন্ত দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক ছিলেন। আমি আপনাদের কাছে আমার মায়ের জন্য দোয়া চাই, আম্মাকে আল্লাহ যেন জান্নাত বাসী করেন। কবর আজাব থেকে মুক্তি দেন।
জানাজার নামাজে ইমামতি করেন কলাবাগান জামে মসজিদের ইমাম মুফতি জুনায়েদ আহমেদ।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান,পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবিএম খালেদ, সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত, অসীম কুমার উকিল এমপি, সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরিফ খান জয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ডক্টর সেলিম মাহমুদ,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য
ড. মো. মশিউর রহমান,বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কামরুল ইসলাম,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন,
যুবলীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খান মাইনুল হোসেন নিখিল স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল ইসলাম রিপনসহ অগণিত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও চাঁদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক প্রিয়তোষ সাহা চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সাবেক প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব এমএ মাসুদ ভূঁইয়া,চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান,চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম নোমান, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারী, প্রেসক্লাবের সভাপতি এ এইচ এম আহসান উল্লাহ, সাবেক সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী এরশ্বাদ মিয়াজী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রাধাগোবিন্দ গোপ সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান টুটুল, যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হেলাল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মোরশেদ জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন,
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক সদস্য রাশেদ আহমেদ চৌধুরী, ক্রিকেট বোর্ডের অফিশিয়াল কর্মকর্তা মোঃ সেলিমসহ চাঁদপুরের আরো বহু নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা শেষে বিভিন্ন স্তরের মানুষের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুলের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
রাষ্ট্রীয় সফর সংক্ষিপ্ত করে মমতাময়ী মাকে শেষ বারের জন্য দেখতে সুদূর লন্ডন থেকে দেশে ফিরে জানাযা দাফন ও দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনিএমপি।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে তিনি রোববার বেলা এগারোটার সময় ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই সরাসরি চলে আসেন কলাবাগানে মায়ের বাসভবনে। এ সময় মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও চাঁদপুর থেকে আগত দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিশিষ্টজনরা শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দেখা করে তাকে সান্ত্বনা দেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির মা ও ভাষাসংগ্রামী মরহুম এমএ ওয়াদুদের স্ত্রী শিক্ষাবিদ রহিমা ওয়াদুদ (৮৯) বার্ধক্যজনিত কারণে ৬ মে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান।
তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। রহিমা ওয়াদুদ রাজধানীর লেক সার্কাস বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তিনি চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েও একসময় শিক্ষকতা করেন।