হিলশা নিউজ রিপোর্টঃ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশ হিসেবে স্মার্ট নৌসেবায় ১৫ দাবী নিয়ে কাজ শুরু করেছেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান ও ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি, র্যাক এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের ২য় মেয়াদে সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মিজান মালিক। তিনি ইতিমধ্যেই দাবীগুলো নৌ মন্ত্রণলয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিয়েছেন।
সূত্র মতে, স্মার্ট নৌসেবায় দাবীগুলো হচ্ছে যথাক্রমে ১) যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ২)যাত্রীর ব্যক্তিগত বা পারিবারিক মালামাল পরিবহনে লঞ্চের স্টাফদের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ৩)যাত্রীরা লঞ্চে মালামাল উঠানামায় ঘাটের কুলিদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে মজুরি নির্ধারণ করবে। এক্ষেত্রে কুলিরা মজুরি চাপিয়ে দিতে পারবে না যাত্রীর ওপর। এ ব্যাপারে যাত্রীর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। ৪)যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে। ৫)যাত্রীদের ওপর বাড়তি ভাড়ার চাপ সমন্বয় করতে হবে। ৬)লঞ্চে সরবরাহ করা খাবারের ন্যায্যমূল্য এবং অন্যান্য পণ্যে কোম্পানির বেঁধে দেওয়া মোড়কের দামে (MRP) বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে।
৭)যাত্রীদের নিরাপত্তায় প্রতি ফ্লোরে একজন করে আনসার সদস্য লঞ্চ কত্রিপক্ষ কত্রিক নিয়োগ দিতে হবে। ৮)রাতে চলাচলকারী লঞ্চে পর্যাপ্ত পরিমানে আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোনভাবেই অন্ধকার রাখা যাবে না। ৯)আসনের অতিরিক্ত যাত্রী বহন এবং ছাদে যাত্রী বহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ১০) লঞ্চে কোন প্রকারের জুয়ার আসর বসানো যাবে না। ১১) যেসব ঘাটে অনুমতি নেই লঞ্চ থামানোর সেসব জায়গায় কিংবা অন্যান্যভাবে লঞ্চে যাত্রী উঠানো কিংবা নামানো যাবে না। ১২) লঞ্চে যে কোন ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ১৩) লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌ-পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। যাতে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা পেতে পারে।
১৪) লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কেবিন বা সিটে বসে আসা যাওয়া করা যাত্রীদের টিকেটের দুটি অংশ থাকতে হবে। কত টাকা ভাড়া নেয়া হল তার অংকসহ টিকেটের একটি অংশ যাত্রীর কাছ থাকবে। এবং ১৫) যাত্রী কখনো কোনো ধরনের ঝামেলায় পড়লে তিনি যে সময় বা তারিখে একজন যাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করেছেন তার একটি ডকুমেন্টস থাকা দরকার। তাই যাত্রীর অংশে যাত্রার সময় তারিখও উল্লেখ থাকতে হবে।
১৮ জানুয়ারি বুধবার এসব তথ্য নিশ্চিত করে সিনিয়র সাংবাদিক মিজান মালিক ‘হিলশা নিউজ’-কে বলেন, নৌরুটে যাত্রীরা যাতে স্বাধীনভাবে নির্বিগ্নে চলাচল করতে পারে সেজন্য স্মার্ট নৌসেবা নিশ্চিতে কাজ করছি। সমাজ সেবায় আমার লেখনী এবং অংশ গ্রহণ সবসময় অব্যাহত থাকবে।