জয় চন্দ্র নাগঃ চাঁদপুরে অর্ধ শতাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের অস্তিত্ব থাকলেও গেলো ২১ বছরেও চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর নির্বাচন হয়নি। যার কারনে সাংস্কৃতিক সংঠগনগুলোও নানাভাবেই চাঙ্গা হচ্ছেনা বলে দাবী সাংস্কৃতিক কর্মীদের।
৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচনের দাবীতে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের কাছে সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দরা স্মারকলিপি দিয়েছেন।
চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের মহাসচিব হারুন আল রশিদ বলেন, নির্বাচন না হওয়ায় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে চলছে নিরব অস্থিরতা। এক নায়কতন্ত্র ও আমলাতন্ত্রের কারনে যেনো এখানে কোন প্রকার জবাবদিহি নাই। তাই অতিব জরুরি ভিত্তিতে এই নির্বাচন হওয়ার দাবী জানাচ্ছি।
এদিকে স্মারললিপির দাবীতে উল্লেখ করা হয়, চাঁদপুরে অন্তত ৫০টির অধিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের অস্তিত্ব রয়েছে। গঠনতন্ত্র মোতাবেক ৩ বছর অন্তর অন্তর নির্বাচনের মাধ্যমে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর একটি প্রতিনিধিত্বমূলক কমিটি গঠন করতে হয়। এতে করে সাংস্কৃতিক কাজকে সচল রাখা প্রধান কর্তব্য হলেও চাঁদপুরে তা করা হচ্ছেনা। এছাড়াও কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধ চেতনা ধারণ করে সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি জাতীয় দিবসগুলো পালন করার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সাথে সমন্বয় করা এবং উৎসাহ প্রদান করারও প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তা করা হচ্ছেনা। কাজেই জেলা শিল্পকলা একাডেমির স্কুলের তদারকি, জবাবদিহিতা ও জনসম্পৃক্ততা তৈরি করে সুন্দরভাবে সাংস্কৃতিক চর্চাকে এগিয়ে নিতে এডহক কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে জেলার হাজারো সংস্কৃতিসেবী তথা কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিনিধি নির্বাচন করার উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে বর্ণচোরা নাট্টগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী বলেন, ২০০৩ সালের অক্টোবর মাসে সাংস্কৃতিক কর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে তৎকালীন জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাচন হয়েছিলো। এর পর থেকে এডহক কমিটি দিয়েই চলছে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কার্যক্রম।
সাংস্কৃতিক কর্মীরা বলছেন, বর্তমানে যে ৫ সদস্যের একটি এডহক কমিটি রয়েছে। সেটিতে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক, জেলা কালচারাল কর্মকর্তা এবং ৩ জন সদস্য হিসেবে শহিদ পাটোয়ারী, বদিউজ্জামান কিরণ এবং রূপালি চম্পক রয়েছেন। আমরা এই এডহক কমিটি ভেঙ্গে নির্বাচনের দাবীতে জেলার ৩৬টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এক হয়ে নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।
এ সময় জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।