অমরেশ দত্ত জয়ঃ চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ এলাকার বড়ষ্টেশন মাছঘাট নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাছঘাটের বেশ কিছু ব্লক দেবে যাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন মৎস ব্যবসায়ী, জেলেসহ সংশ্লিষ্টরা।
১৩ই সেপ্টেম্বর সোমবার বড়ষ্টেশন মাছঘাটে গেলে ব্লক দেবে যেতে দেখা যায়।
বড়ষ্টেশন মাছঘাটের বেশ কয়েকজন আড়তদার ও জেলে জানান, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের এই মাছঘাটটির বেশ কিছু ব্লক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে করে পুরো মাছঘাট এলাকা নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছি। চরম আতঙ্কে আছি, ঘাটটা নদীতে বিলীন হলে আমরা কোথায় যাবো?
মৎস সমবায় সমিতির পরিচালক আব্দুল খালেক বেপারী বলেন, মেঘনা নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ার পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর ত্রিমোহনায় সৃষ্ট হচ্ছে ঘূর্ণিপাক। যার কারণে মাছঘাট এলাকায় আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে হুমকির মুখে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী ইলিশ মাছঘাটটি। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।
চাঁদপুর মৎস বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার বলেন, ওপেন নিলামে ইলিশ বিক্রি হয় বলে এই মৎস অবতরণ কেন্দ্রটি সবার কাছে বেশি জনপ্রিয়। দক্ষিণাঞ্চলের সব ঘাট থেকে রেল, সড়ক ও নদী পথে এই বড়ষ্টেশন ঘাটে মাছ আসে বলে এটাকে দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মাছঘাট বলা হয়। লোকাল মার্কেট, সিলেট এবং উত্তর বঙ্গে এখানকার ইলিশ বেশি যাচ্ছে। প্রতিদিন ৫’শ থেকে ৬’শ মণ ইলিশ এখন ঘাটে আমদানি হচ্ছে। কিন্তু ইলিশ ল্যান্ডিং সেন্টার এই মাছ ঘাটটি নদীতে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বেশ কিছু ব্লক দেবে গেছে। এই মৎস অবতরণ কেন্দ্রটি নদীভাঙ্গণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি,পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস. এম. রেফাত জামিলকে এ বিষয়ে অবহিত করা হলে তিনি জানান, আমরা দ্রুতই বড়ষ্টেশন মাছঘাট এলাকার ব্লক দেবে যাওয়া স্থান পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।