সুমন আহমেদ : চাঁদপুরের মতলব উত্তরে একদিনের ভারি বর্ষণে ‘মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে বসতবাড়িতে পানি উঠেছে, পুকুর ডুবে মাছ ছুটে গেছে এবং ফসলগুলো তলিয়ে গেছে। ফলে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা মনে করছেন স্থানীয়রা।
বিশেষ করে আমন চাষিদের রোপা আমন এখন পানির নিচে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করা হলে এই ক্ষতি আরও বাড়বে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প । খবর নিয়ে জানা গেছে, এই সেচ প্রকল্পের আওতায় আবাদযোগ্য জমি ১৪.১ হেক্টর।
সেচ প্রকল্প এলাকায় বছর জুড়ে বোরো, আউশ ও আমন আবাদ হয়। চলতি মোসুমে ২ সপ্তাহ আগে রোপন করা হয়েছে আমন চাষ।
জলাবদ্ধতার কারণে জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। রোপা আমন ৩/৪ ফুট পানির নিচে থাকায় অনেকটা হতাশার মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার কৃষক।
মতলব উত্তর উপজেলার বারআনী গ্রামের কৃষক ওমর আলী ও মাহমুদ আলী বলেন, আমাদের এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য ১ টি খাল রয়েছে। ওই খালই দখল হয়ে আছে। আমাদের পানি নিষ্কাশনের জন্য তেমন কোন ভালো ব্যাবস্থা নাই।
জোড়খালী গ্রামের কৃষক গোলাম মস্তফা মিয়াজী বলেন, আমাদের এলাকায়ও রোপা ফসল, মৎস্য খামার ও বসতঘরসহ বহু স্থাপনা তলিয়ে গেছে। আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল।
ভারী বর্ষণে উপজেলার ছেংগারচর , জোড়খালী,বারআনী,হানিরপাড়,কলাকান্দা,
দশআনী,
দুর্গাপুর, লতরদি, এখলাছপুর, ফতেপুর, ব্রাম্মনচক, নওদোনা, নিশ্চিন্তপুর, লুধুয়াসহ একাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে বহু মানুষ।
মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. আলাউদ্দিন বলেন, ভারী বর্ষণে হওয়ায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। পাম্প চালিয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দুর করা হবে।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে ফসল ক্ষতির তথ্য পাওয়া গেছে। সেচ কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য আমরা অনুরোধ করেছি।