বিশেষ প্রতিনিধিঃ চাঁদপুর জেলা ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির কাজীর বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে।জানাযায়,আগামী ২৮ নভেম্বর ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৭ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির কাজী বিরুদ্ধে তার প্রার্থীতার যোগ্যতা নিয়ে আপত্তি তোলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন মিন্টু পাটওয়ারী।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর মোহাম্মদ হোসেন মিন্টু পাটওয়ারী লিখিত অভিযোগ করেন।
জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ পত্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন মিন্টু পাটওয়ারী বলেন, আমি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রতীক প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। আমার প্রার্থীর যোগ্যতা অযোগ্যতা বাছাই পর্ব শেষ করে নির্বাচনে জনগনের দ্বারগোড়ায় পর্যন্ত নৌকার প্রতীকে প্রার্থী হিসেবে গিয়ে পৌঁছিয়েছি।
কিন্তু আমার প্রতিপক্ষ হুমায়ুন কবির কাজী যাচাই বাছাই পর্ব ও প্রার্থীর তথ্যাদি গোপন রেখে বর্তমানে ঘোড়ার প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। কিন্তু নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আইনের চতুর্থ পরিচ্ছদের “ছ” কলামে অংশ গোপন করে সে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসে ফরম দাখিল করেন। যাহা নির্বাচন অফিস কখনো তদারকি না করে তাকেই অংশগ্রহণের অনুমতি দেন।
ঘোড়ার প্রতীক হুমায়ুন কবির কাজী উনার সরবরাহকারী সরকারী ডিলার ছিলেন। যাহার নাম- মেসার্স এন.এস.ট্রেডিং। প্রোপাইটর- ফাতেমা বেগম।
যাহা প্রার্থীর স্ত্রী হয়। অনুচ্ছেদের “ছ” কলামে উল্লেখ আছে উনি বা উনার পরিবারবর্গের কেহই এই ধরণের কাজের সাথে জড়িত থাকিলে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করিতে পারিবে না।
উনি চতুর বিধায় উনার স্ত্রীর নামে উক্ত ডিলারশীপটি ট্রান্সফার করে বর্তমানে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন। যাহা নির্বাচনী আইনের বর্হিভূত কাজ। বিষয়টি তদন্তকারী বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ফরিদগঞ্জের দক্ষিণ পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী আবু বক্কর বলেন, এ বিষয়ে এখন আমার কিছু করার নাই। বিষয়টি নিয়ে যাচাই-বাছাই কালে কেউ অভিযোগ করে নাই। যারা অভিযোগ করেছে তারা ইচ্ছে করলে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে।
উল্লেখ্য, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল বা অযোগ্যতা নিয়ে স্থানীয় সরকার ( ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন আইন -২০০৯ এর ২৬( ছ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘‘তিনি বা তাঁর পরিবারের উপর নির্ভরশীল কোন সদস্য সংশ্লিষ্ট পরিষদের কোন কাজ সম্পাদনের বা মালামাল সরবরাহের জন্য ঠিকাদার হন বা এর জন্য নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হন বা সংশ্লিষ্ট পরিষদের কোন বিষয়ে তাঁর কোন প্রকার আর্থিক স্বার্থ থাকে বা তিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অত্যাবশ্যক কোন দ্রব্যের ডিলার হন”।
তাই উপরোক্ত আইন অনুযায়ী দক্ষিণ পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী হুমায়ুন কবির কাজী নির্বাচন করার জন্য অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হোন। কারণ তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমের নামে মেসার্স এন. এস ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যা স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আইনের পরিপন্থী।