বিমল চৌধুরীঃ চাঁদপুরে অচিরেই নির্মিত হচ্ছে বৈষ্ণব কুলমনি শ্রীশ্রী নিত্যানন্দ পরিবারের ১৪ তম বংশ অবতংশ নিত্যলীলায় প্রবিষ্ট, অষ্টোত্তরশত প্রভুপাদ শ্রীশ্রী তিন কড়ি গোস্বামী মহারাজের শিষ্য ৮৪ ক্রোশ ব্রজমন্ডলের চারি সম্প্রদায়ের শ্রীমোহন্ত ও কুম্ভমেলার মহামন্ডলেশ্বর শ্রীল অষ্টোত্তরশত মুরারীদাস বাবাজীর, শ্রীশ্রী রাধা মুরারি মোহন জিউড় মন্দির।
জানা যায়, বানিজ্যিক বন্দর চাঁদপুরের সৌন্দর্যময় মেঘনার কোল ঘেষে মনোরম পরিবেশে পুরানবাজার হরিসভা রোডে এই মন্দির স্থাপিত হবে। মন্দির নির্মানের লক্ষে ইতিমধ্যে জায়গাও কিনে ফেলেছেন মুরারিদাস বাবাজীর ভক্ত ও শিষ্যগন।
১৮ই অক্টোবর রোববার তারা ‘হিলশা নিউজ‘-কে জানান, গুরুর আশ্রয়ে যারা থাকেন গুরুদেবই তাদেরকে রক্ষা করেন। তাই গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা পুরানবাজার মেঘনার পাড়ে গুরুদেবকে স্মরন করে শ্রীশ্রী রাধা মুরারি মোহন জিউড় মন্দির নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করেছি। গুরুদেবের কৃপায় আমরা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই মন্দির নির্মান কাজ শুরু করতে পারবো। গুরুদেবের মন্দির নির্মানের জন্য অনেক ভক্তই এগিয়ে এসেছে।তাদের অনেকেই এস্থানে মন্দির নির্মানের জন্য মতামত ব্যাক্ত করেন। কারন এই স্থানেই গুরুদেব মুরারিদাস বাবাজী মহারাজ পরপর ২ বার শুভাগমন করেছেন। বাবাজী মহারাজের উপস্থিতিতে ব্যাপক আনন্দঘন উৎসব মুখর পরিবেশে চৌষট্টি মহান্তের ভোগরাধনা অনুষ্টিত হয়েছে।
তারা ‘হিলশা নিউজ‘-কে আরো জানান, শত শত ভক্ত হৃদয় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যর মধ্যে দিয়ে পূণ্য অর্জনের লক্ষ্যে নেচে গেয়ে চৌষট্টি মহান্তের প্রসাদ গ্রহন করেছেন মহাআনন্দে। মুরারিদাস বাবাজীর সেই স্মৃতিময় কার্যক্রম এবং তার সেবা পূজার লক্ষ্যে নিয়ে আমরা বাবজীর ভক্ত, শিষ্য ও অনুরাগীগন শ্রীশ্রী রাধা মুরারি মহোন জিউড় মন্দির নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
মুরারিদাস বাবাজী মহারাজের ভক্ত, শিষ্য অনুরাগীগন মন্দির নির্মানে জাতি , ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৪২৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতের শ্রীধাম বৃন্দাবনের শ্রীশ্রী মুরারিমোহন কুন্জ থেকে শিষ্য, অনুরাগীদের আকুল আবেদনে শ্রীল অষ্টোত্তরশত মুরারিদাস বাবাজী মহারাজ চাঁদপুরে শুভাগমন করেন।