প্রান কৃষ্ণ দাসঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩ নং কল্যানী ইউনিয়নে তুষার ভূঁইয়া (২৩) নামে এক যুবক বাবা মায়ের সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।তবে শোনা যায়,স্ত্রীকে বেশি ভালোবাসার কারণ ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের খোঁজখবর নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা মা ছেলেকে নির্যাতন করে হাত ভেঙে দিয়েছিলো।
যেজন্য স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় বাবা মায়ের সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
সোমবার বিকেল তিনটায় কল্যাণপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পূর্ব কল্যাণদি গ্রামের একটি মুরগির ফার্মের পাশে ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর থেকেই প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও স্থানীয় লোকজন ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করে।
গত তিন মাস পূর্বে ঘোষের হাট এলাকার তামান্না আক্তার নামে এক মেয়েকে বাবা-মায়ের পছন্দের মত পারিবারিকভাবে বিয়ে করে।
বিয়ের পর থেকে স্ত্রী ও শাশুড়ির ঝগড়া-বিবাদ হলে নিহত তুষারের মা আমেনা বেগম তার ছেলের বউকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে এক সপ্তাহ পূর্বে তুষারের বাবা হারুন ভূঁইয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে মোটা লাঠি দিয়ে আঘাত করে ছেলের এক হাত ভেঙ্গে দেয়।
এই ঘটনার পর থেকেই পারিবারিক কলহের জের ধরে তুষার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। অবশেষে বাবা-মার সাথে অভিমান করে তার বাড়ির পাশে ভাড়াটে মুরগির ফার্মের পাশে ঘুমটি ঘরে গিয়ে আড়ার সাথে রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এই ঘটনায় তুষারের স্ত্রী তামান্না জানান, পারিবারিকভাবে বিয়ে হওয়ার পর থেকে স্বামী তুষারের মা রেহানা বেগম তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ করত। কিছুদিন পূর্বে শাশুড়ি রেহেনা বেগম ঘর থেকে বের করে দিলে স্বামী বাবার বাড়িতে নিয়ে আসে। স্বামী ভালোবাসে বলে ও খোঁজখবর নেওয়াই ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাবা-মা তার সাথে ঝগড়া বিবাদ শুরু করে। একপর্যায়ে তার বাবা লাঠি দিয়ে আঘাত করে তার হাতটি ভেঙে দেয়।এরপর তার লাশ জুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
তামান্নার বাবা জানান, তুষারের বাবা মা আমার মেয়েকে দেখে পারিবারিকভাবে বিয়ে হওয়ার পর প্রথম কয়েকদিন ভালো যায়। বিয়ের এক মাস পর থেকেই তুষারের মা মেয়েকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে ছেলেকে মারধর করার পরেই তুষারকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তারা নিজেরা এর দায় এড়াতে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে । এই ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে হয়েছে তাই আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।